শ.ম.গফুর::
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে কক্সবাজার ও বান্দরবানের তিন উপজেলায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এতে করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
কমেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা উপস্থিতিও কম। এমনটাই উঠে এসেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশিত অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্ত (মাউশি) সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে স্থানীয় শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে- তা যাচাই করে প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(ক্ষতি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা), কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেল ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (৪৫ লাখ হাজার টাকা) এবং উখিয়া উপজেলার ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (৩৭ লাখ ৫০ হাজার) ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও আসব পত্র নষ্ট হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এসব ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বহু সময়ের প্রয়োজন বলে স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়ায় জানা গেছে। অপরদিকে রোহিঙ্গা সেবাই নিয়োজিত বিভিন্ন এনজিওতে চাকরীর কারণে ঝরে পড়ছে বহু সম্ভাবনা।আবার অনেকেই চাকরীর খোজে হয়রান। তাতে হাজার -হাজার শিক্ষার্থী চলতি বছরে ঝরে পড়ার আশংকাও রয়েছে।বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সবুজ সেন বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম। উখিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম জানান,রোহিঙ্গা আসার পর থেকেই ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরীর পেছনে সময় দিচ্ছে।
পাঠকের মতামত